সাংবাদিক খালেদ হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি খালেদ হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গাইবান্ধার সাংবাদিক সমাজের উদ্যোগে শহরের ১নং ট্রাফিক মোড়ে ঘন্টাব্যাপী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা।
রোববার বেলা ১১ টায় শহরের ডিবি রোডে গাইবান্ধার সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে প্রেসক্লাব গাইবান্ধা এর সভাপতি নেয়ামুল আহসান পামেল এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার হেদায়তুল ইসলাম বাবু, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হোসেন, পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন, গাইবান্ধা অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাংবাদিক শাহজাহান সিরাজ, লালচাঁন বিশ্বাস সুমন, মাহাবুব মিয়া, ফারহান শেখ, ছালাম আশেকী, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কবির, শহিদুল হক, তৌহিদুর রহমান তুহিন, আরিফুল ইসলাম নুরুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, নির্মল মিত্রসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, মাছরাঙা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়াল, ডিবিসি নিউজের রিক্তু প্রসাদ, একুশে টেলিভিশনের আফরুজা সিদ্দিক লুনা, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের আরিফুল ইসলাম বাবু, ফোকাস বাংলার কুদ্দুস আলম, বৈশাখী টেলিভিশনের এস.এম. বিপ্লব, একাত্তর টেলিভিশনের শামীম আল সাম্য, এস এ টিভি’র কায়সার প্লাবন, বাংলাভিশনের ফিরোজ কবির মিলন, আনন্দ টিভি’র মিলন খন্দকার প্রমুখ।
বক্তারা খালেদ হোসনের উপর হামলাকারী সাখোয়াত হোসেন শেলীকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। একই সাথে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো: মুজিবুর রহমানের প্রত্যাহার সহ খালেদ হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবীও জানান।
উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে থানা পাড়ায় একই পাড়ার সাখোয়াত হোসেন শেলী পৌর নির্বাচনের জের ধরে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় সাংবাদিক খালেদ হোসেন বাদী হয়ে পরের দিন সদর থানায় মামলা করেন। তার দুইদিন পর আসামী সাখোয়াত হোসেন শেলী পলাতক থাকা অবস্থায় তার স্ত্রীর মাধ্যমে সাংবাদিক খালেদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যা পরবর্তীতে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো: মুজিবুর রহমান খালেদ হোসেনের নামে দায়ের করা মামলাটি মিথ্যা বলে সাংবাদিকদের নিকট স্বীকার করেন।